নুরুল কবির,বান্দরবান :

বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতির উৎসব পহেলা বৈশাখ এখন পরিণত হয়েছে প্রানের উৎসবে। এ দিনটিতে পুরনোর জীর্ণতা, গল্লানি-ভেদ ভুলে নতুনকে আহ্বান করে বাঙালি। বাঙালির এ প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে সকাল থেকে রাজার মাঠে চলে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো …সুরের তালে তালে বর্ষবরণের ঢেউ লাগে এদেশের কোটি বাঙালির মিলন মেলায় আর বর্ষবরণের অন্যতম আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন করেছে হাজারো পাহাড়ী বাংঙ্গালী। পাবত্য জেলা পরিষদ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই শোভাযাত্রা। শুক্রবার সকাল থেকে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন করতে রাজার মাঠে জমায়েত হতে থাকে হাজারো পাহাড়ী ও বাংঙ্গালী ।

বেলুন উড়িয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় শুভ উদ্ধোধন করেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হারুন অর রশীদ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনিবান চাকমা, পৌর মেয়র ইসলাম বেবী,সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছ,পাবত্য জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষী পদ দাশ, সদস্য ক্যা সা প্রুসহ স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। রাজার মাঠ থেকে শুর হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন হয়ে রাজার মাঠে গিয়ে শেষ হয়। “মুছে যাক গল্লানি ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা” মর্মবাণী ধারণ করে ঐক্য ও অসাম্প্রদায়িকতার ডাক দিয়ে ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন শিক্ষক, ছাত্র, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। এতে তরুনদের অংশ নিতে দেখা গেল বৈশাখী পাঞ্জাবি আর মাথায় গামছা, যাতে লেখা ছিল এসো এসো হে বৈশাখ। তরুণীরা পরিধান করে বৈশাখী শাড়ি। ছোট ছোট বাচ্চাদের মুখে রংতুলি দিয়ে লেখা ‘শুভ নববর্ষ’। এছাড়া বাঙালির উৎসবের এ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন অনেক দেশীয় পর্যটকও। মঙ্গল শোভাযাত্রা পরে আয়োজন করা হয় পান্তা ভাতের এবং সকাল থেকে বিকাল পযন্ত চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।